হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলমের সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে উন্নয়ন কাজ শেষ না করে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে রোববার কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন হলদিয়া পালং ইউনিয়নের বাসিন্দা মকতুল হোসেন।
বাদীর আইনজীবী মো. সিরাজ উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নে গ্রামীণ জনপদের সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য টিআর ও কাবিখার আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪২২ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বিচারক মীর শরীফুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৬ অগাস্ট শুনানির দিন রেখেছেন বলে জানান আইনজীবী সিরাজ।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নাকচ করে চেয়ারম্যান শাহ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “টিআর ও কাবিখার দুটি প্রকল্পে এসব টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। এর মধ্যে টিআর প্রকল্পের কিছু কাজের অর্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেকের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। আর কিছু কাজ আমি নিজেই করেছি। অন্যদিকে কাবিখা প্রকল্পের অধীনে যে সব কাজ রয়েছে তা এখনও শেষ হয়নি।”
বন্যার কারণে এসব কাজ শেষ করতে দেরি হওয়ায় ‘নির্দিষ্ট কার্যাদেশ সময়ে সম্পন্ন করার নিয়ম থাকায়’ টাকা তুলে চেকের মাধ্যমে তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা রেখেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
তবে উখিয়ার ইউএনও মো. মাঈনউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার কাছে কোনো টাকা জমা রাখা হয়নি।
মকতুল হোসেন ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে তার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছেন বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান শাহ আলম।
তিনি বলেন, “হলদিয়া পালং ইউনিয়নের উত্তর বড়বিল এলাকায় সরকার একটি কারাগারের জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছে। এতে মকতুলের ভোগ-দখলে থাকা বেশ কিছু সরকারি খাস জমি রয়েছে। তাতেই তিনি আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন।”