শনিবার গাইবান্ধার বোনারপাড়া রেলওয়ে থানায় করা এই মামলায় আরও পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের একজন হলেন নিহত গৃহবধূর স্বামী গাইবান্ধা সদর থানার এসআই দেবাশীষ সাহা। বাকি আসামিদের নাম ও পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ওসি আতাউর রহমান জানানন, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি জানান, কুড়িগ্রাম শহরের বৈরাগিপাড়ার নির্মলচন্দ্র সাহার ছেলে দেবাশীষ সাহার সঙ্গে চলতি বছরের ৪ মার্চ একই জেলার ভুরুঙ্গামাড়ি উপজেলা সদরের গোবিন্দচন্দ্র সাহার মেয়ে লাবনি সাহার (২২) বিয়ে হয়। চাকরির কারণে দেবাশীষ স্ত্রীসহ গাইবান্ধা শহরের পুরাতন হাসপাতাল লেনে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
“দেবাশীষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন। বিয়ের পরে লাবনির অভিভাবকরা জানতে পারেন রাজশাহীতে পড়ার সময় এক মেয়ে সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।”
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিয়ের পরও ওই মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় দেবাশীষের সঙ্গে স্ত্রীর দ্বন্দ্ব চলছিল। এ নিয়ে প্রায়ই কথাকাটাকাটির জেরে স্ত্রীকে মারধর করতেন দেবাশিষ। তার পরিবারের লোকজনও লাবনিকে নির্যাতন করত।
ওসি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১০ অগাস্ট) সকালে তাকে মারধরের পর গাইবান্ধার ভাড়া বাসার ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে দেবাশীষ থানায় যান। পরে লাবনি মোবাইল ফোনে তার এক আত্মীয় ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সহায়তায় তালা খুলে নিয়ে থানায় যান। সেখানে স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়।
“এরপর লাবনি সান্তাহার-লালমনিরহাট রেল রুটের গাইবান্ধা রেল স্টেশনের অদূরে রাধাকৃষ্ণ এলাকায় রেললাইনে যান। দুপুরে সেখানে লাবনি সাহা ঢাকাগামী লালমনিরহাট এক্সপ্রেসের নিচে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।”
এসআই দেবাশীষ সাহার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।