আখাউড়া-আগরতলা সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শনিবার ওই সড়কে যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস অফিস পানি ঢুকে পড়লেও যাত্রী পারাপার চলছে।
আখাউড়া বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহমেদ খলিফা বলেন, পানি বাড়ায় সকাল থেকেই আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। একদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
বন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা পেয়ার আহমেদ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিকল্প ব্যবস্থায় ইমিগ্রেশনের কাজ চালু করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান জানান, ভারি বর্ষণে শুক্রবার রাতে হাওড়া নদীর বাঁধের ত্রিপুরা অংশ এবং বাংলাদেশের একটি অংশ ভেঙে যাওয়ায় বাংলাদেশে পানি ঢুকে আখাউড়া-কসবার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে শুক্রবারের ভারি বর্ষণে কসবা সীমান্ত হাটের বাংলাদেশের অংশের একটি সীমানা প্রাচীর ধসে পড়েছে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা ইসলাম জানান, ধসে পড়া সীমান্তহাটের দেয়ালের স্থানে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়াসহ ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা হচ্ছে।
তাছাড়া পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০ টন চাল, নগদ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আইনমন্ত্রী নগদ তিন লাখ টাকা ও ৩০ টন চাল বরাদ্ধের ব্যবস্থা করেছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।