লাইনে পানি উঠে পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও রেল বন্ধ

ভারি বর্ষণ ও উজানের পানিতে রেল লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পঞ্চগড় থেকে ঠাকুরগাঁও রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 August 2017, 11:57 AM
Updated : 12 August 2017, 12:35 PM

পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার বজলুর রহমান জানান, স্রোতের তোড়ে পঞ্চগড়ের নয়নিবুরুজ ও কিসমত স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় রেল লাইনের পাথর পানির তোড়ে ভেসে যাওয়ায় শনিবার থেকে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রেলপথের কোনো কোনো এলাকায় পাথর-মাটি সড়ে দুই থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ সমস্যাকে ‘ওয়াশ আউট’ উল্লেখ করে স্টেশন মাস্টার বলেন, ওই দুই স্টেশনের প্রায় দুই কিলোমিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য প্রতিদিন বিভিন্ন সময়ে যাতায়াতকারী চারটি ট্র্রেনের চলাচল বন্ধ বন্ধ আছে।

“প্রকৌশলীরা ক্ষতিগ্রস্ত রেল লাইন ঠিক করতে কাজ করছেন। তবে কখন যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।”

এদিকে অবিরাম বর্ষণে পঞ্চগড় সদরসহ তেঁতুলিয়া ও দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শামছুল হক জানান, সকাল সাড়ে ৬টায় পর্যন্ত ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জেলায় ১২০ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত না হলে পানি নেমে যাবে বলেও তিনি জানান।

তাছাড়া তিন দিন পর্যন্ত আমন ক্ষেত ডুবে থাকলেও ধানের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।

পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, পৌরসভার বেশ কয়েকটি এলাকা করতোয়া নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার লোকজন পঞ্চগড় বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,  রামেরডাঙ্গা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি স্কুল কলেজে আশ্রয় নিয়েছে।

আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনো খাবার ও খিচুড়ি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মণ্ডল জানান, পৌরসভার মেয়রসহ পাঁচ উপজেলার ইউএনওদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী শুকনো খাবার, চাল ও নগদ টাকা বিতরণের জন্য বলা হয়েছে।

পানিবন্দি মানুষদের সাহায্যার্থে পর্যাপ্ত ত্রাণ ও টাকা চেয়ে ঢাকায় ফ্যাক্সবার্তা পাঠানো হয়েছে।