বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফাটল দেখা দেওয়ার পর থেকে বাস ও হালকা যান ধীরে ধীরে সেতু পার হলেও ভারি গাড়ি চলছে মহাস্থান-শিবগঞ্জ সড়ক হয়ে ১০ কিলোমিটার ঘুরে।
এতে রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, জয়পুরহাট ও কুড়িগ্রামের যানগুলোকে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামন বলেন, “সেতুর মাঝখানের গার্ডারে ফাটল ধরেছে। ঝুঁকি মোকাবিলায় বাস ও হালকা যানগুলা একটা করে পার করে দেওয়া হচ্ছে।
“আর ভারি গাড়ি ও মালবাহী ট্রাক বিকল্প পথ হিসেবে মহাস্থান-শিবগঞ্জ সড়কটি ব্যবহার করছে।”
ঢাকা থেকে দুইজন বিশেষজ্ঞ সেতু পরিদর্শনের জন্য রওনা হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের মতামত নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফাটল দেখা দেওয়ার পর পুলিশ গিয়ে লাল পতাকা ও বিকল্প পথে চলাচলের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে।
বগুড়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক সালেক উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিকভাবে ভারি যান চলাচল বন্ধ করে বিকল্প পথে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে বিকল্প পথটি সরু হওয়ায় যানজট মোকাবিলা করতে হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রদীপ মোহন্ত নামে এক যাত্রী শিবগঞ্জ থেকে বগুড়া এসে জানিয়েছেন, সরু রাস্তাটিতে বিপুলসংখ্যাক ভারি যান চলাচল করায় দীর্ঘ জট সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে এই আঞ্চলিক সড়কের যাত্রীদের দুই ঘণ্টার বেশি সময় অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছে।