বুধবার দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো.হাসানুজ্জামান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত তোফাজ্জল হোসেন ওরফে নিজাম (৫২) বড়াইগ্রাম উপজেলার দোগাছি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
তাছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ২১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান পিপি আব্দুল হাই।
মামলার নথির বরাত দিয়ে পিপি জানান, জাল চুরি নিয়ে ২০০৬ সালের ২ অক্টোবর বিকালে উপজেলার দোগাছি গ্রামে ২০০ থেকে ৩০০ লোকের উপস্থিতিতে সালিশ বসে। সালিশের এক পর্যায়ে নিজাম বন্দুক গ্রামের ওমেদ আলীকে তিনটি গুলি করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওমেদ আলীর ভাই কমেদ আলী বাদী হয়ে ২১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে বড়াইগ্রাম থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক খান ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
তিনি বলেন,“রায়ে বলা হয়েছে আসামি তোফাজ্জাল হোসেন ওরফে নিজামের বিরুদ্ধে ওমেদ আলীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ২০০ থেকে ৩০০ মানুষের উপস্থিতিতে ঠাণ্ডা মাথায় এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করায় আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলা হল।”
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন আসামির আইনজীবী আরিফুল ইসলাম।