সোমবার নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম দেড় বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত মো. হেলাল নাটোরের সিংড়া উপজেলার আগমুরশন গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ মামলায় মিলন হোসেন, আসাদুল ও হেলেনা বেগম নামে তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৫ সালের অক্টোবরে হেলালকে তার স্ত্রী রোকেয়া খাতুন তালাক দেন। রোকেয়া ওই এলাকার তালেব আলীর মেয়ে।
এর জেরে ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি দুপুরে আসামি মিলন, আসাদুল ও হেলেনার সহায়তায় হেলাল তার শ্বশুরবাড়ি থেকে শ্যালক খান জাহানকে অপহরণ করে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।
পরে জাহানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর বস্তায় ভরে ঘরে রেখে দেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে হেলালের বাড়ি থেকে জাহানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় জাহানের বাবা তালেব আলী চারজনকে আসামি করে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে হেলাল হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। আর মিলন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে লাশ গুম করতে সাহায্য করেন বলে স্বীকারোক্তি দেন।
এ মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন বলে সিরাজুল জানান।