রিমান্ডে মৃত্যু, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালতে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় হেফাজতে থাকা এক আসামির মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত ও বিচার চেয়ে মৃতের ভাই আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন।  

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2017, 12:51 PM
Updated : 6 August 2017, 02:16 PM

রোববার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরিফুল ইসলামের আদালতে এ অভিযোগ করেন শাহিনুর আলম।

অভিযোগে নাচোল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন, এসআই আব্দুল বারিকসহ মোট আট জনকে আসামি করা হয়েছে; যাদের মধ্যে রয়েছে পুলিশের ছয় সদস্য।  

বাদীর আইনজীবী আকরামুল ইসলাম জানান, বাদী শাহিনুর আলমের জবানবন্দি শুনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপারকে অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সেই সঙ্গে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল এবং বিষয়টি পুলিশের আইজি ও ডিআইজিকে অবহিত করারও নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানান আকরামুল। 

গত ২৬ জুলাই নাচোল থানার হাজতখানার শৌচাগারে মাহফুজুর রহমানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

আইনজীবী আকরামুল জানান, পেটে ব্যাথায় আক্রান্ত নাচোল উপজেলার জাহিদপুর গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে স্কুল ছাত্রী নাহিদাকে গত ১৭ জুলাই নাচোলে জননী ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

“এলাকায় ‘ডা. মাসুদ রানা’ হিসেবে পরিচিত মাহফুজুর রহমান তার অপারেশন করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ১৯ জুলাই নাহিদার মৃত্যু হয়। ওই দিন রাতেই মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।”

আকরামুল বলেন, ওই ঘটনায় নাহিদার বাবা নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে মাহফুজুর রহমানসহ পাঁচ জনকে আসামি করে নাচোল থানায় মামলা দায়ের করেন।

“ওই মামলায় পুলিশ ২০ জুলাই মাহফুজকে আদালতে হাজির করে এবং আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় মাহফুজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে নাচোল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।”

মাহফুজুর রহমান নিজেকে ডা. মাসুদ রানা হিসেবে সার্জারিতে এফসিপিএস ডিগ্রিধারী পরিচয় দিয়ে ওই ক্লিনিকে অপারেশন পরিচালনা করতেন। তিনি আসলে ডাক্তার ছিলেন না বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।