সরজমিনে দেখা যায়, অম্বিকাপুর রেল লাইনের পাশের কলোনিটি নিচু এলাকায়। কয়েকদফা বৃষ্টির কারণে আশপাশের পানি নেমে এসেছে এ কলোনিতে।
স্বাভাবিকভাবে পানি নেমে না যাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এখানকার শতাধিক পরিবার।
বেশিরভাগ ঘরে খাট পর্যন্ত পানি উঠেছে। রান্না করার কোনো ব্যবস্থাও নেই। কেউ ভেলায়, কেউ পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে পাশের কোথাও গিয়ে রান্না করে ঘরে নিয়ে আসছে অথবা খাবার কিনে খাচ্ছে। পাঠশালায় যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
স্থায়ীভাবে এ জলাবদ্ধতার সমাধান দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
ফিরোজ খান নামে কলোনির এক বাসিন্দা বলেন, “প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে পানিবন্দি থাকি। এ কয়েকমাস জীবনযাপন করা খুবই কষ্টসাধ্য। পৌর কর্তৃপক্ষ যেন স্থায়ীভাবে এ জলাবদ্ধতার সমাধান করে।”
পানিবন্দি শেখ হাফেজ মোল্লা বলেন, “কোমর পর্যন্ত পানির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সব সময় আতঙ্কে থাকি এই বুঝি বাচ্চা পানিতে পড়ে গেল।
“পৌরসভা প্রতিবছর পাম্প দিয়ে সেচ দিয়ে পানি সরিয়ে ফেলে। এবার তাও করেনি। বাববার যেন এ ধরনের সমস্যা না হয়।”
আনিকা নামে এক গৃহবধূ বলেন, “বাচ্চাকে আমি তার নানা বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। বেঁচে আছি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। কলোনির বেশিরভাগ ছেলে-মেয়ের স্কুলে যাওয়া বন্ধ।
এ নিয়ে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খন্দকার সামসুল আরেফীন সাগর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বছরও এ এলাকার মানুষ পানিবন্দি ছিল। এ এলাকার পানি বের করার কোনো জায়গা নেই। বৃষ্টি কমলে পানি সেচের মাধ্যমে এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ শুরু করা হবে।
“আমরা স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করেছি, সম্ভব হয়নি। নতুন করে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।”
শুক্রবার জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো. পারভেজ মল্লিক অম্বিকাপুর রেল কলোনি পরিদর্শন করেছেন।
এছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এনডিসি পারভেজ।