বুধবার দুপুরে শহরের শরীয়তপুর নার্সিংহোমে ভাংচুরের এ ঘটনা ঘটে বলে পালং থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান জানান।
মৃত রুমা আক্তার (৩৫) পৌর এলাকার তুলাসার বেপারী পাড়া গ্রামের আবু তাহের বেপারীর মেয়ে।
তবে চিকিৎসকদের ভাষ্য, তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
রুমার বোন রেবা আকতার বলেন, সন্তান প্রসবের জন্য নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি হিসেবে তাকে ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।
ওসি বলেন, রুমার স্বজনরা ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার ও ৩/৪টি কক্ষসহ যন্ত্রপাতি ব্যাপক ভাংচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. দাউদ বলেন, “প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পর শরীয়তপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান তার প্রেসার পরীক্ষা করেন। এক পর্যায় রোগী স্ট্রোক করে মারা যায়।
“এ ঘটনার জন্য চিকিৎসক দায়ী নয়। রোগীর স্বজনরা অন্যায়ভাবে আমাদের ক্লিনিক ভাংচুর করেছে।”