শনিবার কবিরহাট পৌর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ জানান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান।
শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জের মানিকপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে এক সভায় মওদুদ আহমদ বলেন, “দুটি কারণে সরকার কোনো বিরোধী দলকে ঘরোয়া বৈঠক, সভা-সমাবেশ করতে দেয় না।
“একটি হলো- বর্তমান সরকারের এখন মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয়তা নেই। দ্বিতীয়টি হলো- বিএনপির প্রতি দেশের জনগণের যে সমর্থন আছে তা আওয়ামী লীগ সহ্য করতে পারছে না।”
বিএনপিকে ঘরোয়া বৈঠকও করতে না দেওয়ার জবাব আগামী নির্বাচনে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
মওদুদের বক্তব্যের প্রতিবাদে জহিরুল হক বলেন, “ব্যারিস্টার মওদুদ শুক্রবার নিজ বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নাকি বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না।
“তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকেও জড়িয়ে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। মূলত উপজেলা বিএনপির অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বের কারণে সংঘর্ষের আশংকায় প্রশাসন বসুরহাট পৌরসভা হলে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। এর দায়ভার কোনভাবেই আওয়ামী লীগের নয়।”
তিনি আরও বলেন, গত আট বছরে মওদুদ আহম্মদ এলাকায় এসেছেন, সভা-সমাবেশ করেছেন। তার অনুপস্থিতিতে তার দল বিএনপি প্রতিনিয়ত সভা-সমাবেশ করছে। তিনি যতবার এলাকায় এসেছেন তার দল তার উপস্থিতিতেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি। এ সময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মফিজ উল্যাহ সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।