এমপি আশেক উল্লাহর পাশে হত্যা মামলার ২ আসামি

যুবলীগ নেতাসহ কয়েকটি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের সঙ্গে নির্বাচনী এলাকা পরির্দশন করেছেন মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2017, 01:31 PM
Updated : 29 July 2017, 04:03 PM

শুক্রবার মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ও কালারমারছড়া ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা ঘোরেন আশেক উল্লাহ।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওসমান গণি হত্যা ও বেলাল হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সেলিম চৌধুরী এবং যুবলীগ নেতা রিদওয়ান হত্যার আসামি আজিম।

কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান তাকের বিন ওসমান শরীফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হত্যা মামলার বেশ কয়েকজন আসামিদের সঙ্গে এমপি আশেক উল্লাহ শুক্রবার নোনাছড়িসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরেছেন প্রকাশ্যে; অথচ প্রশাসন নির্বিকার।

“এমপির মদদে ওসমান হত্যা মামলার আসামি সেলিম, আজিম, রাসেলরা মহেশখালীতে চাঁদাবাজি, বাড়ি ভাংচুর, লুঠপাট করে যাচ্ছে। গত কয়েকদিনে সেলিমের বিরুদ্ধে নোনাছড়ির বিভিন্ন বাড়ি থেকে অন্তত ৩০টি গরু চুরির অভিযোগ এসেছে। স্থানীয়রা প্রাণনাশের আশঙ্কা থেকে থানায় মামলায় করতে পারছেন না।”

আশেক উল্লাহ রফিক

জনপ্রতিনিধির সঙ্গে ‘সন্ত্রাসীদের অবাধ বিচরণে’ এলাকাবাসী আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন উল্লেখ করে ওসমান শরীফ আরও বলেন, “প্রশাসন ও এমপির এমন কর্মকাণ্ড রোধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”

মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হত্যা মামলার আসামিদের সঙ্গে নিয়ে নোনাছড়িসহ কয়েকটি এলাকায় এমপির ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টি আমি আপনার কাছে শুনলাম মাত্র। আমি ঢাকা থেকে ফিরে এ বিষয়ে খোঁজ নেব।

“ওসমান হত্যা মামলায় সেলিম জামিনে আছেন, তবে তার বিরুদ্ধে থাকা অন্য মামলায় তিনি জামিনে নেই। রিদওয়ান হত্যার আসামি আজিম জামিনে নেই এবং তার বিরুদ্ধে পরোয়ানাও নেই।”

ওসমান গনি হত্যা মামলার আইনজীবী নোমান শরীফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওসমান হত্যা মামলায় ২০১৩ সালে ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র হয়। এরমধ্যে সেলিমসহ পাঁচ আসামি জামিনে আছেন। কিন্তু তার ভাই রাসেল, চাচাত ভাই আজিম জামিনে নেই।

“রিদওয়ান হত্যা মামলায় এখনও অভিযোগপত্র হয়নি। এ ধরনের চলমান মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে পরোয়ানা লাগে না।”

এ নিয়ে সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা দুইজন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন, সেলিম দলের মনোনয়নে ইউপি নির্বাচন করে হেরে গিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকতেই পারে।

“আমি এলাকায় গিয়ে ছিলাম সেই হিসেবে আমার সঙ্গে তারা ছিলেন।তাদের মামলার আসামির বিষয়টি পুলিশ ও কোর্ট-কাচারির ব্যাপার।”

এসব তার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তিনি।