সোমবার পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ এ কথা জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ফরিদ শেখ এবং ওই স্কুলছাত্রীর চাচাত ভাই জাকির হোসেন শেখ।
পুলিশ সুপার জানান, গত ১৫ জুলাই নিখোঁজ হন ভেদরগঞ্জ উপজেলার সরদার কান্দির গ্রামের লেহাজ উদ্দিন শেখের মেয়ে লিজা।
পরদিন এ নিয়ে সখিপুর থানায় লিজার চাচি নাসরিন আক্তার একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ২২ জুলাই মাঝি কান্দি গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার হয়।
“২৩ জুলাই রাতে ফরিদ শেখ ও জাকির হোসেন শেখকে আসামি করে একটি মামলা করেন লিজার বাবা। ওই মামলায় সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।”
এসপি এহসান আরও জানান, ‘অনৈতিক প্রস্তাবে’ রাজি না হওয়ায় ওই দুইজন লিজাকে গলাটিপে হত্যার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
লিজার ময়নাতদন্তকারী শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) বলেন, “স্কুলছাত্রীর শরীরের লিভার, কিডনি, ফুসফুসসহ অনেক অঙ্গ-প্রতঙ্গ পাওয়া যায়নি।”
এ নিয়ে এসপি এহসান সাংবাদিকদের জানান, “শরীয়তপুরে লিভার, কিডনি পাচার চক্র নেই। অনেক অঙ্গ-প্রতঙ্গ হয়তো পঁচে গেছে, সেজন্যই চিকিৎসক এ কথা বলেছেন।”