সাদুল্লাপুর হাসপাতাল: সিভিল সার্জনের নির্দেশেও তদন্তের খবর নেই

গাইবান্ধা সিভিল সার্জনের নির্দেশের চার মাস পরও সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নুর আলমের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

তাজুল ইসলাম রেজা গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2017, 07:51 AM
Updated : 23 July 2017, 11:09 AM

গণমাধ্যমে নুর আলমের দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হলে গত ১৬ মার্চ  জেলা সিভিল সার্জন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তা বরাবর একটি চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে নুর আলমের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সরেজমিন তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায় নুর আলমের মালিকাধীন ‘নুসরাত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের’ লাইসেন্স ও নথিপত্রের ফটোকপি সাত দিনের মধ্যে সিভিল সার্জনের দপ্তরে দাখিল করার নির্দেশ দেন।

তদন্তের নির্দেশপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তা আবু আহম্মেদ আল মামুন বলেন, “নানা কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে এখনও ওই তদন্তটি শুরু করা হয়নি।”

এদিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধার সিভিল সার্জন আমির আলী।  

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাদুল্লাপুর আলোকিত সচেতন নাগরিক সংগঠনের সভাপতি শামসুজ্জোহা প্রামানিক বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিসহ ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে মেশিন রয়েছে।

“কিন্তু নুর আলম কৌশলে সেসব নষ্ট কিংবা মেশিনপত্রের নানা সমস্যার কথা বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ও প্রাইভেট কিছু ডাক্তারের সঙ্গে যোগসাজশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন নিজের ‘নুসরাত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছেন।”

নুসরাত ডায়াগনস্টিক সেন্টার

ফলে মানুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কম টাকায় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বলেন শামসুজ্জোহা।

এ ব্যাপারে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হারুন-অর-রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। নীতিমালা অনুযায়ী, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী হাসপাতাল ঘেঁষে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক হতে পারেন না। তারপরও তিনি কিভাবে হাসপাতালের সামনে নিজের মালিকানাধীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালাচ্ছেন জানি না।

“এনিয়ে তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তদন্ত করছে। তারা কী ব্যবস্থা নেবেন সেটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ব্যাপার।”