চাঁদপুরে তেল চুরির মামলায় যমুনা অয়েলের ৫ কর্মচারী গ্রেপ্তার

তেল চুরির মামলায় চাঁদপুরে যমুনা অয়েল কোম্পানির একটি ডিপোর পাঁচ কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চাঁদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2017, 06:35 AM
Updated : 23 July 2017, 06:58 AM

চাঁদপুর মডেল থানার ওসি ওয়ালী উল্লাহ অলি জানান, যমুনা অয়েল কোম্পানি চাঁদপুর ডিপোর সুপার  খায়রুল কবির বাদী হয়ে শনিবার চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।

এরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির চাঁদপুর ডিপোর সুপার (সাময়িক বরখাস্ত) শেখ মোহাম্মদ খাদেমুল (৩৬), অপারেটর মো. মিজানুর রহমান (৪৮), আবু বকর সিদ্দিক (৫০), মিটারম্যান মো.মজিবুল হক (৩৮) ও কর্মচারী মোসলেম শাহ (৩৮)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুন যমুনা অয়েল কোম্পানির আগের নিবন্ধিত ইরাবতি জাহাজের সুপারভাইজার আফছার যমুনার ডিপো সুপার খাদেমুলকে মোবাইলে ফোন করে সাত লাখ লিটার ডিজেল চাঁদপুর ডিপোতে গ্রহণ করতে বলেন।

পরে তা ডিপোর স্টাফদের সহযোগিতায় বিআইডব্লিউটিএ-এর একটি জাহাজ থেকে ডিপোর ৮ নম্বর ট্যাংকে গ্রহণ করেন খাদেমুল। এ ডিজেল আফছারের কাছ থেকে প্রতি লিটার ৫৮ টাকা দরে ক্রয় করা হয় বলে মামলায় বলা হয়েছে।  

অভিযোগে বলা হয়, ক্রয়ের এই অর্থ খাদেমুল পদ্মা, মেঘনা, যমুনার এজেন্ট ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ ও হান্নান ফিলিং স্টেশনের কাছ থেকে তিনটি ব্যাংকের কয়েকটি চেকের মাধ্যমে গ্রহণ করেন।

খাদেমুল এই চেক জাহাজের সুপারভাইজারকে দেন এবং পরবর্তীতে খাদেমুল এই ডিজেল ফয়সাল এন্টারপ্রাইজের প্রদত্ত ডিলারের তালিকা অনুযায়ী ডিপোর ৮ নম্বর ট্যাংক থেকে সরবরাহ করেন বলে অভিযোগ।

খাদেমুলের নির্দেশে কর্মচারীরা মিটার রিডিং পরিবর্তন করে তেল পাচারে সহযোগিতা করেন। এই অনিয়মের কারণে সরকারের চার কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে হজাহারে উল্লেখ করা হয়।

মামলার বরাত দিয়ে ওসি ওয়ালী উল্লাহ জানান, ঘটনাটি বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (জেওসিএল) এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

“ওই সময়ে তাৎক্ষণিক যমুনা অয়েল কোম্পানির চাঁদপুর ডিপোর সুপার খাদেমুলকে সময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।”

শনিবার তদন্ত টিমের প্রধান অতিরিক্ত সচিব ও বিপিসির পরিচালক (বিপণন) মীর আলী রেজার নেতৃত্বে অপর দুই সদস্য বিপিসির ম্যানাজার (বিপণন) মোরশেদ হোসাইন আজাদ ও মেঘনা অয়েল কোম্পানির ডিজিএম শেখ আব্দুল মতলব চাঁদপুরে এসে ঘটনার তদন্ত করেন।

তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় যমুনা অয়েল কোম্পানি চাঁদপুর ডিপোর বর্তমান সুপার খায়রুল কবির বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।