জেলার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকাল ১০টায় বামনদী আখমাড়াই কেন্দ্রের পাশে সৌদি আরব প্রবাসী মিশকাত হালিমের দোতলা বাড়িতে অভিযান শুরু করে। আড়াই ঘণ্টা পর অভিযান সমাপ্ত হয়।
হালিম ২২ বছর ধরে সৌদি আরবে থাকেন জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, বাড়িটি ঘিরে ফেলার পর পুলিশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে চারজন বেরিয়ে এসেছেন।
“তাদের মধ্যে আছেন মালিক হালিমের স্ত্রী, এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া ছেলে, বিবাহিতা মেয়ে ও একটি শিশু।”
এসপি আরও বলেন, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ বিভিন্ন দিক থেকে চেষ্টা চালিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে সক্ষম হয়। ভিতরে জঙ্গি ও গোলাবারুদ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
“পুলিশ কিছু না পেয়ে বাড়ি তালাবন্ধ করে অভিযান শেষ ঘোষণা করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।”
তাদেরকে গাংনী থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানালেও নাম-পরিচয় জানাননি এসপি আনিসুর।
গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, আটক চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাংনী থানা হাজতে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে তাদের মুখ থেকে জঙ্গি সম্পর্কিত ‘চাঞ্চল্যকর তথ্য’ পাওয়া যাবে।
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পাশের এই বাড়িটি পুলিশ ঘিরে ফেলার পর আধা কিলোমিটারের মধ্যে কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি। গণমাধ্যমকর্মীসহ এলাকার লোকজন আধা কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়েছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আজমল হোসেন জানান, বাড়িটির মালিক মিশকাত আলী সৌদি আরব প্রবাসী। বাড়িটি মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের ডান পার্শ্বে বামুন্দী আখ মাড়াই ও মাধ্যমিক স্কুলের পাশে অবস্থিত। ২০-২২ বছর যাবৎ মিশকাত সৌদি আরব থাকেন। বাড়িতে তার স্ত্রী, বিবাহিতা মেয়ে, এইচএসসি পড়ুয়া ছেলে ছাড়া আর কারও থাকার কথা নয়।