বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ হুমায়ুন কবীর এ আদেশ দেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী আব্রাহাম লিংকন জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত রংপুর জেলা কার্যালয়ের দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেওয়া এবং আসামিদের হাজিরা ও জামিন শুনানির নির্ধারিত দিন ছিল বৃহস্পতিবার।
“পাঁচ আসামির মধ্যে সাবেক উপাচার্য জলিল মিয়া ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।”
মামলার অপর তিন আসামি উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এ টি জি এম গোলাম ফিরোজ, সহকারী রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম রনি ও সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার আশরাফুল আলম আদালতে হাজির হননি।
গত ১৯ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক সমন্বিত রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক আকবর আলী ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদক সমন্বিত রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল করিম বাদী হয়ে রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশে ২০১৩ সালের ৪ মে উপাচার্য আব্দুল জলিলকে তার পদ থেকে অব্যাহিত দেন রাষ্ট্রপতি।
এদিকে রোববার সিন্ডিকেটের ৫৩তম সভায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি শাহজাহান আলী মণ্ডলকে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, এ টি জি এম গোলাম ফিরোজকে উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) থেকে অতিরিক্ত পরিচালক, মোর্শেদ উল আলম রনিকে সহকারী রেজিস্ট্রার থেকে উপ-রেজিস্ট্রার এবং খন্দকার আশরাফুল আলমকে সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) থেকে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।