হবিগঞ্জে ৪ শিশু হত্যা মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় আলোচিত চার শিশু হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত আগামী ২৫ জুলাই রায়ের তারিখ ঠিক করার দিন রেখেছে।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2017, 08:45 AM
Updated : 20 July 2017, 11:26 AM

সিলেটে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার এই আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কিশোর কুমার কর জানান, আলোচিত এ হত্যা মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে। আগামী ২৫ জুলাই আদালত রায়ের দিন ঠিক করবে।

গত বছরে ১২ ফেব্রুয়ারি বিকালে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।

মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে, তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র।

নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ইছাবিল থেকে তাদের বালিচাপা লাশ উদ্ধার হলে দেশজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বাহুবল থানায় নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মনির মিয়ার বাবা আবদাল মিয়া।

২০১৬ বছরের ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি মোক্তাদির হোসেন নয়জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

পুলিশ গ্রেপ্তার করে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী বাগাল ও তার দুই ছেলেসহ ছয়জনকে। এর মধ্যে আসামি বাচ্চু মিয়া র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।

কারাগারে আছেন আরজু মিয়া, শাহেদ, আব্দুল আলী বাগাল, তার দুই ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া।

আর উস্তার মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাল পলাতক রয়েছেন।

গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আব্দুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার তদন্ত ও আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে।

হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। হবিগঞ্জ আদালতে মামলার ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

গত ১৫ মার্চ মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হলে আরও সাতজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।