পবিপ্রবিতে সংঘর্ষ: ছাত্রলীগের ৫ নেতা বহিষ্কার

অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2017, 08:14 AM
Updated : 18 July 2017, 09:20 AM

বহিষ্কৃতরা হলেন - বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তিন সহ-সভাপতি ইয়াসির আরাফাত, মাহমুদ চৌধুরী আসিফ, আব্দল্লাহ আল মারুফ এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ কামাল তুহিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করার কারণ দেখাতে বল হয়েছে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে।

সোমবার ক্যাম্পাসে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শাহেদ সিদ্দিকী শান্ত ও সহ-সভাপতি ইয়াসির আরাফাত পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মোতায়েন করা হয় তিরিক্ত পুলিশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বঙ্গবন্ধু হলের দুটি কক্ষ ভাংচুর করার দায়ে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগও আনা হয়েছে বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে।

তবে বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, সোমবারের এ ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না।

“কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল তথ্য দিয়ে আমাকে বষ্কিার করানো হয়েছে। আশা করি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে।”

আর বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ইয়াসির আরাফাত বলছেন, “ঘটনার জন্যে প্রকৃতই যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

“আমরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরব। আশা করি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নোটিশের জবাব পেলে আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করবেন।”

এ বিষয়ে সভাপতি শাহেদ সিদ্দিকী শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী উল্লার মোবাইলে বারবার ফোন করলেও তারা সাড়া দেননি।