জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় সোমবার দুপুরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।”
নিহত খালেদ আহমদ লিটু (২৫) বিয়ানীবাজারের কসবা নয়াটিলা এলাকার খলিল উদ্দিনের ছেলে। এলাকায় একটি মোবাইলের দোকান চালাতেন তিনি।
লিটু জেলা ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক পাভেল মাহমুদের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
এ ঘটনায় আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত কলেজ বন্ধ ঘোষণা ও তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।
কলেজের অধ্যক্ষ দারকেশ চন্দ্র নাথ জানান, ঘটনার পর আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া এ ঘটনা তদন্তের জন্য উপাধ্যক্ষকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কলেজ এলাকার অধিপত্য নিয়ে দুপুরে পাভেলের অনুসারীদের সঙ্গে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম পল্লবের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
লিটুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিন জনকে আটক এবং ঘটনার পর কলেজ ও আশপাশের এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে আটককৃতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে আবুল কাশেম পল্লব ও পাভেল মাহমুদকে ফোন করা হলেও তারা ধরেননি।