পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষ

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষসহ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2017, 09:07 AM
Updated : 17 July 2017, 12:27 PM

সোমবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়াসহ এসব ঘটনা ঘটে।

সদর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শাহেদ সিদ্দিকী শান্ত ও সহ-সভাপতি আরাফাত পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

“এরই জেরে সোমবার ভোরে আরাফাত পক্ষের লোকজন শান্তর পক্ষের একজনকে মারধর করে। সকাল ১০টার দিকে উভয় পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।”

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা দিগবিদিক ছোটাছুটি করে নিরাপদে আশ্রয় নেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে জানিয়ে ওসি রাজ্জাক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সহ-সভাপতি আরাফাত হোসেন অভিযোগ করেন, “বর্তমান সভাপতি শাহেদ ও সাধারণ সম্পাদক ওলীউল্লাহ একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে বিভিন্ন অপকর্ম করে। তার প্রতিবাদ করলেই তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়। তারা আমার রুমে ব্যাপক ভাংচুরসহ লুটপাট করেছে।”

সভাপতি শান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বিক্রিসহ সেবন করেন বলেও অভিযোগ করেন আরাফাত।

তিনি বলেন, মাদকদ্রব্যর বিরুদ্ধে কথা বলার কারণেই আজকে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

“সাধারণ সম্পাদক ওলীউল্লাহর ছাত্রত্ব নেই, তবুও তিন পদ ধরে রেখেছেন। তারা সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ করে থাকেন।”

তবে সভাপতি শান্ত মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, “তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমরা সব সময় ক্যাম্পাসে শান্তি-শৃঙ্খলার পক্ষে। আজকের এ ঘটনার জন্য আরাফাত নিজেই দায়ী। সে বাইরে থেকে ক্যাডার ভাড়া করে এনে শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি আওয়াল কবির জয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সকাল থেকে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

“আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হলে দোষী ছাত্রলীগনেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”