রোববার সন্ধ্যার আগে বাঁধটির ভাঙ্গনের স্থান পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের বাহুকা চৌধুরীবাড়ি এলাকায় নির্মাণাধীন রিং বাঁধের ২০ মিটারের মত অংশ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে।
ওইদিন রাত ২টা থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের ৪৫ সদস্যের একটি দল বাঁধ সংস্কারে কাজ শুরু করে।
রোববার রাতে সৈয়দ হাসান ইমাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পানি প্রবাহ ও ভাঙ্গন বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আর আতঙ্কের কিছু নেই।”
আগামী কয়েক দিন কাজ চালিয়ে বাঁধটিকে আরও ‘শক্তিশালী’ করা হবে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।
বাধ ভাঙার পর আশপাশের কমপক্ষে ১০টি গ্রামে পানি ঢুকে ১০ হাজার মানুষ এবং এলাকার রাস্তাঘাট, বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিকে পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম ভাঙন কবলিত বাঁধটি পরিদর্শনের জন্য রাতে সিরাজগঞ্জ এসে পৌঁছেছেন।
সোমবার সকালে তারা দুজন ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি ঘুরে দেখবেন।
বাঁধ পরিদর্শনের পর তারা কাজিপুরে অন্য একটি প্রকল্প পরিদর্শনে যাবেন বলে তথ্য দিয়েছেন সদর থানার ওসি হেলাল উদ্দিন।
পুরাতন নদীতীর রক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চলতি বছরের মে মাসে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭৪০ মিটার দীর্ঘ রিং বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে বাঁধের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।