গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, রোবার ব্রহ্মপুত্র-যুমনার পানি কমে ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ও ঘাঘটের পানি গাইবান্ধা পয়েন্টে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, গত দুই দিনে সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পালিতবাড়ি, কুমারপাড়া ও কালুরপাড়া গ্রামের শতাধিক বাড়ি যমুনা নদীর গর্ভে হারিয়ে গেছে। সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের গো-ঘাট এলাকাও ভাঙন অব্যাহত আছে। রয়েছে বিশুদ্ধ পানি সংকট।
জেলা প্রশাসন ত্রাণ সহায়তা ও নগদ টাকা বিতরণ করলেও চাহিদার তুলনায় তা খুবই কম বলে অভিযোগ দুর্গতদের।
হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী বলেন, “একদিকে পানিবন্দি মানুষের হাহাকার, অন্যদিকে নদী ভাঙন কবলিত মানুষের আক্ষেপ। সরকার যে সামান্য ত্রাণ দিয়েছে। তা কাকে রেখে কাকে দিই।”
নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গো-ঘাট এলাকায় ভাঙনের ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলার কাজ করছে। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না ভাঙন।”
জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল জানান, এ পর্যন্ত বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে ৩২৫ মেট্রিকটন, ১৮ লাখ টাকা এবং চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ২৯৫ মেট্রিকটন চাল ও ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।