জেলার শতাধিক স্কুলে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এখনও পানিবন্দি দুই লাখের বেশি মানুষ।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কয়েক দিন ধরে হাওরের পানি কিছুটা নেমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হয়েছিল।
“শনিবার বিকাল থেকে আসামে ভারি বৃষ্টির কারণে কুশিয়ার নদী, হাকালুকি ও কাউয়াদিঘির পানি বেড়ে আরও বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।”
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, রোববার সকালে কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।আর শেওলা পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
“একই সঙ্গে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কাউয়াদিঘি হাওরের কাশিমপুর এলাকায় কুশিয়ারা ২০ সেন্টিমিটারের উপরে ও মৌলভীবাজার হাকালুকি হাওরের বুড়ি কিয়ারী এলাকায় পানি ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
“এর ফলে কাউয়াদিঘি হাওরের পানি নামা বন্ধ হয়ে গেছে। আর উজান থেকে আসা পানি নামতে না পেরে হাওর পাড়ের গ্রামগুলোতে আবারও পানি কিছুটা বেড়েছে।”
হাকালুকি হাওর পাড়ের গ্রামগুলিতেও একই অবস্থা বলে জানান তিনি।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পানিবন্দি হয়ে পড়ায় বড়লেখায় ৪৬টি, কুলাউড়ায় ৪০টি, জুড়িতে ১৫টি, রাজনগরে ১৪টি ও মৌলভীবাজার সদরে ৪টি বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।
এছাড়াও আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারে জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়েছে ১৫টি বিদ্যালয়ের, বলেন কিশল চক্রবর্তী ।
“বন্যার প্রথম দিকে দুই হাওরের বোরো তলিয়ে গিয়েছিল। এখন আমন ও আমনের বীজতলার ক্ষতি হচ্ছে। শতাধিক হেক্টর শাক সবজিও নষ্ট হয়ে গেছে।”