মামলা তোলার দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের অনশন দ্বিতীয় দিনে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ভবনে ভাংচুরের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের মামলা তুলে নেওয়ার দাবিতে অনশন দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2017, 10:09 AM
Updated : 16 July 2017, 10:59 AM

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রোববার বিকালে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকেছে।

রোববার দুপুরে অনশন স্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, অনশনরত আগের দিনের দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে সংহতি জনিয়ে আরও দুই শিক্ষার্থী অনশন শুরু করেছেন।

এরা হলেন ইংরেজি বিভাগের ৪২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী তাহমিনা জাহান তুলি এবং আইন ও বিচার বিভাগের ৪৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী খান মুনতাসির আরমান।

এছাড়া অনশন স্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন।

শনিবার বিকাল ৩টা থেকে অনশনে বসেন ইংরেজি বিভাগের ৪২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সর্দার জাহিদুল ইসলাম ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪০তম আবর্তনের শিক্ষার্থী পূজা বিশ্বাস।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রোববার বিকালে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকেছে।

তবে সিন্ডিকেটে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হবে কিনা সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

গত ২৬ মে ভোরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দুই শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হওয়ার পর উপাচার্য ভবনে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে প্রশাসন ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ মামলায় গ্রেপ্তার হন ৪২ শিক্ষার্থী।

অনশন কর্মসূচি নিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি ইমরান নাদিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শান্তিপূর্ণ উপায়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও মামলা তুলে নেও্য়ার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই শিক্ষর্থীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাওয়ায় তারা অনশনে বসেছেন। আশা করি প্রশাসন সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে দ্রুতই মামলা তুলে নেওয়ার উদ্যোগ নেবে।”

শিক্ষার্থীদের অনশন ও মামলা প্রত্যাহার নিয়ে উপাচার্য ফারজানা ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছি; কিন্তু এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। মামলাটি এখন আর বিশ্ববিদ্যালয়ের এখতিয়ারে নেই, রা্ষ্ট্রপক্ষে চলে গেছে।

“শিক্ষার্থীরা যদি তাদের ওইদিনের (উপাচার্যের বাসভবন ভাংচুরের দিনের) কাজের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করে তাহলে আমরা রাষ্ট্রের কাছে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলব, তাছাড়া নয়।”