মিজানুর রহমানের প্রকল্পের নাম ‘অ্যাম্বুলেন্স ভেহিকল উইথ লোকাল টেকনোলজি’।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘একসেস টু ইনফরমেশন’ (এটুআই) প্রোগ্রাম মিজানের এই প্রকল্পে চার লাখ দশ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (ইনোভেশন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে অর্থ ছাড় ও প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে গত ২১ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এটুআই এর সঙ্গে মিজানের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মিজান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রথম কিস্তির দুই লাখ ৪৬ হাজার টাকার একটি চেক আমি পেয়েছি। প্রাথমিক কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছি।”
এর আগে মিজান উদ্ভাবন করেন অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ডিজিটাল সিজার, (কাঁচি),যা দিয়ে শত শত মাইল দূর থেকে কোনো প্রকল্পের ফিতা কেটে উদ্বোধন করা যাবে। স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে চার চাকার জিপিউদ্ভাবন করেন তিনি। এরপর তৈরি করেন ‘পরিবেশ সেফটি যন্ত্র’ ও ‘ধোঁয়া রিসাইক্লিনিং যন্ত্র’ উদ্ভাবন করেছেন।
মিজান বলেন, পরিবেশবান্ধব ধোঁয়া রিসাইক্লিনিং যন্ত্র ব্যবহার করে ধোঁয়াকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।এ ব্যাপারে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, “স্থানীয় ও দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে চার চাকার জিপ গাড়িটি তৈরির পর সেটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরে রেখে দিয়েছি।ওই গাড়ি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা।”
যশোরের শার্শা উপজেলার শ্যামলাগাছি গ্রামের মিজানুর রহমান মিজান পেশায় মোটরসাইকেল ম্যাকানিক। বিভিন্ন যন্ত্র উদ্ভাবন করে উপজেলা, জেলা,বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকটি ক্রেস্ট, সন্মাননা ও নগদ অর্থ পেয়েছেন।