উদ্ভাবক মিজানকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তা

একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যশোরের মোটরসাইকেল মেকানিক মিজানুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যার একটি অংশ ইতিমধ্যে ছাড় করাও হয়েছে।

আসাদুজ্জামান আসাদ, বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2017, 06:55 AM
Updated : 16 July 2017, 07:21 AM

মিজানুর রহমানের প্রকল্পের নাম ‘অ্যাম্বুলেন্স ভেহিকল উইথ লোকাল টেকনোলজি’।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘একসেস টু ইনফরমেশন’ (এটুআই) প্রোগ্রাম মিজানের এই প্রকল্পে চার লাখ দশ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (ইনোভেশন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে অর্থ ছাড় ও প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে গত ২১ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এটুআই এর সঙ্গে মিজানের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

নিজের উদ্ভাবিত জিপে মিজানুর রহমান

নিজের কারখানায় মিজানুর রহমান

এর আগে গত ১৮ মার্চ এটুআই প্রোগ্রামের কারিগরি বিশেষঞ্জ প্যানেল মিজানের ‘অ্যাম্বুলেন্স ভেহিকল উইথ লোকাল টেকনোলজি’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়।

মিজান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রথম কিস্তির দুই লাখ ৪৬ হাজার টাকার একটি চেক আমি পেয়েছি। প্রাথমিক কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছি।”

এর আগে মিজান উদ্ভাবন করেন অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ডিজিটাল সিজার, (কাঁচি),যা দিয়ে শত শত মাইল দূর থেকে কোনো প্রকল্পের ফিতা কেটে উদ্বোধন করা যাবে। স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে চার চাকার জিপিউদ্ভাবন করেন তিনি। এরপর তৈরি করেন ‘পরিবেশ সেফটি যন্ত্র’ ও ‘ধোঁয়া রিসাইক্লিনিং যন্ত্র’ উদ্ভাবন করেছেন।

মিজান বলেন, পরিবেশবান্ধব ধোঁয়া রিসাইক্লিনিং যন্ত্র ব্যবহার করে ধোঁয়াকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।এ ব্যাপারে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।

মেলায় প্রদর্শনীতে মিজানের উদ্ভাবিত জিপ

এটুআই প্রোগ্রামের সঙ্গে মিজানের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

মিজান জানান, চলতি বছরের ৪ থেকে ৮ জুন ঢাকার শেরেবাংলা নগরে পরিবেশ অধিদপ্তরের মেলায় অংশ নিয়ে প্রশংসাপত্র ও খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তর এ বছর ‘পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের’ জন্য ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাকে শুভেচ্ছা স্মারক দিয়েছে।

তিনি বলেন, “স্থানীয় ও দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে চার চাকার জিপ গাড়িটি তৈরির পর সেটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরে রেখে দিয়েছি।ওই গাড়ি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা।”

যশোরের শার্শা উপজেলার শ্যামলাগাছি গ্রামের মিজানুর রহমান মিজান পেশায় মোটরসাইকেল ম্যাকানিক। বিভিন্ন যন্ত্র উদ্ভাবন করে উপজেলা, জেলা,বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকটি ক্রেস্ট, সন্মাননা ও নগদ অর্থ পেয়েছেন।