আদিতমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ আলম জানান, উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর গ্রাম থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গুরুতর আহত নূর কুতুব সুজন (২২) ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সুজনের বাবা জাহাঙ্গীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের পর নববধূকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে আসা হয়।
“মঙ্গলবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্যের একপর্যায়ে নববধূ দা দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গে কোপ দেন। প্রথমে তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়”
ঘটনার পর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী। মীমাংসা না হওয়ায় শুক্রবার মামলার পর পুলিশ নববধূকে গ্রেপ্তার করে।
পরিদর্শক মাহফুজ বলেন, ১৮ বছর বয়সী এই নববধূ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীর জননাঙ্গে দা দিয়ে কোপ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
তাকে সুজনের বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবারই আদালতে হাজির করা হবে বলে তিনি জানান।
তবে বিয়ের তৃতীয় দিনে কেন এই তরুণী এমন কাণ্ড করলেন সে বিষয়ে পুলিশ কিছু বলতে পারেনি।