খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ রত্নেশ্বর ভট্টাচার্যের আদালতে বুধবার এ সাক্ষ্য দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী প্রবৃতি চাকমা, আদালত এলাকার দোকানি নূরুল আলম ও আবদুল জব্বার।
আদালতের পিপি বিধান কানুনগো জানান, তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ৯ অগাস্ট এ মামলার পরবর্তী দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত।
মামলায় আট আসামি আটক রয়েছেন বলেও তিনি জানান।
তারা হলেন – জেএমবির সাবেক চট্টগ্রাম বিভাগীর প্রধান আরিফুল ইসলাম, সদস্য শহিদুল ইসলাম, রুহুল আমিন, মঞ্জুর মিয়া, রুহুল আমিন সুফি, ফারুক মিয়া, ইসমাইল হোসেন জমারদার ও রুহুল আমিন।
জামিনে রয়েছেন - এমদাদ মাস্টার, হাসান মাহমুদ ও আবদুল করিম।
২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিয়েছিল জেএমবি। এর অংশ হিসেবে এসব জেলার ৬৩৪টি স্থানে বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে তারা।
পিপি কানুনগো বলেন, এ সময় খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাছে, শাপলা চত্বর মুক্তমঞ্চের কাছে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচতলা ও আধুনিক সদর হাসপাতালের কাছে সিরিজ বোমা হামলা হয়।
খাগড়াছড়ির এ ঘটনায় মামলায় পুলিশ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় বলে জানান এই আইনজীবী।
বিভিন্ন জেলার এসব মামলার মধ্যে কক্সবাজারের ঘটনায় পাঁচ জেএমবি সদস্যকে ছয় বছর করে, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় ৪ জেএমবিকে আজীবন, লালমনিরহাটের ঘটনায় দুইজনকে যাবজ্জীবন দেওয়ার মধ্য দিয়ে কয়েকটি মামলার রায় হয়েছে।