এদিকে মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মত তালাবদ্ধ নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে কর্মচারীরা। তারা ১১ দফার দাবি কমিয়ে বেতন বৃদ্ধির এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে।
সরকার নির্ধারিত মজুরিরসহ ১১ দফা দাবিতে রোববার থেকে রাজশাহী নগর ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে সিটি করপোরেশনের মজুরি ভিত্তিক ২২০০ কর্মচারী। এসময় তারা রাজশাহী শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চিড়িয়াখানা ও সিটি করপোরেশনের গ্যারেজেও তালা ঝুলিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে চিড়িয়াখানা ও গ্যারেজের তালা খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিটি করপোরেশন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ।
তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নগর ভবন তালাবদ্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, চিড়িয়াখানা ও গ্যারেজ খুলে দেওয়া হলেও দৈনিক মজুরির দুই হাজার ২০০ শ্রমিকের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। তবে স্থায়ী ৭০০ কর্মচারী কাজ করলেও তাদের ব্যাপারে আপত্তি থাকবে না।
“১১ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করলেও তা কমিয়ে বেতন বৃদ্ধির এক দফা করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি না করা পর্যন্ত নগর ভবনের তালা খোলা হবে না।”
কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে নগরজুড়ে জমে গেছে আবর্জনার স্তুপ। সিটি করপোরেশনের ডাস্টবিনসহ বিভিন্ন রাস্তায় ও বাড়ির সামনে পড়ে আছে বর্জ্য।
নগরীর শিরোইল রেলওয়ে স্টেশনের প্রকৌশলী ভবনের সামনের ডাস্টবিন, গেটার রোর্ড এলাকার, নগরীল মিয়াপাড়া, ঘোষপাড়া, আলুপট্টি, বড়কুঠি এলাকার আবর্জনা ফেলা স্থানের বাইরে রাস্তায় ফেলা হয়েছে।
জেসমিন আক্তার বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ময়লা নিয়ে যায়। কিন্তু গত তিনদিন তারা ময়লা নিতে আসছে না। ফলে বাড়ির সামনের রাস্তায় ময়লা ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন।
সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিন মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়ে এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি এ প্রতিনিধি।