পটুয়াখালীতে গৃহবধূকে দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক গৃহবধূকে আটকে রেখে দুই দফায় দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে; তবে ধর্ষণের কোনো প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

পটুয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 July 2017, 03:18 PM
Updated : 9 July 2017, 03:38 PM

শনিবার সন্ধ্যায় ওই নারীকে গলাচিপা শহরের চৌরাস্তা এলাকা থেকে উদ্ধার করেন স্থানীয় আইনজীবী উম্মে আসমা আঁখি।

তিনি জানান, আদালত সংলগ্ন এলাকার চৌরাস্তায় একটি মেয়েকে কাঁদতে দেখে এগিয়ে গেলে মেয়েটি তাকে জড়িয়ে ধরে সাহায্য চায়। পরে তিনি ওই নারীকে তার কার্যালয়ে নিয়ে যান।

আইনজীবী আঁখি বলেন, “ঘটনা শুনে থানায় ফোন করে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জানাই। ঘণ্টা দুই পরে থানা থেকে জাকারিয়া নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা ফোন করে বিষয়টি মিডিয়ায় না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।”

ওই গৃহবধূর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় ‘হোন্ডা’ কবির ও তার চার সহযোগী শুক্র ও শনিবার চরখালীর একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।

“পরে তাকে গলাচিপা চৌরাস্তায় এনে অন্য সহযোগীদের হাতে তুলে দেয়। সেখানে আরেক দফা ধর্ষণের পর ওই নারীকে তারা চৌরাস্তা এলাকায় ফেলে যায়।”

এ সময় তারা ওই নারীর ব্যাগে থাকা সাত হাজার ২০০ টাকা ও একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় বলে জানান আঁখি।

রোববার সকালে চার হাজার টাকা দিয়ে মেয়েটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেন আইনজীবী আঁখি।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গলাচিপা থানার ওসিকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

তবে গলাচিপা থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন বলেন, “বিষয়টি শোনার পর ঘটনাস্থলে খোঁজ খবর নিয়েছি, তবে ধর্ষণের কোনো ঘটনা পাওয়া যায়নি।

“জানতে পেরেছি, ওই গৃহবধূ রাতে কবিরের বাসার পাশের ঘরে ছিলেন। তবে কবিরের সঙ্গে কোনো সহযোগী ছিল না। সকালে নাস্তা করে গ্রামে ফিরে গেছেন তিনি, তাকে পাওয়া যায়নি।”