শনিবার কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসব কথা জানিয়েছেন।
কুড়িগ্রামে বর্ন্যাতদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ, মেডিকেল টিম ও ঔষধ মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, শনিবার চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
তিনি আরও জানান, বন্যায় কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, চিলমারী, রাজারহাট ও রাজিবপুর উপজেলার নীচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
“কুড়িগ্রাম সদরে ২০ হাজার, উলিপুরে ১৭ হাজার, চিলমারীতে ২০ হাজার, রাজিবপুরে পাঁচ হাজারসহ অন্যান্য উপজেলা মিলিয়ে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।”
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার চৌধুরী জানান, বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়ায় সদর উপজেলায় ঘোগাদহ প্রথম আলোর চর প্রাথমিক বিদ্যালয়, পার্বতীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উলিপুরে চর বাগুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দাগারকুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিলমারীতে ২ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মনতোলা সরকারি বিদ্যালয়, রাজিবপুরে নয়ারচর বিদ্যালয় ও ভেলামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে।
ওইসব স্কুলে বিকল্পভাবে পাঠদানের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে-জানান তিনি।
বন্যায় এখন পর্যন্ত বীজতলা ও ফসলের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি বলে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মকবুল হোসেন জানিয়েছেন।
বন্যাকালীন সকল রোগের পর্যাপ্ত ঔষধ মজুদ আছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মো. ফেরদৌস খান বলেন, “আমাদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা ও দেড়শ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। এছাড়াও ১৫ লাখ টাকা ও পাঁচ মেট্রিক টন চাল ও তিন হাজার ব্যান্ডেল ঢেউটিনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরার্মশ দিয়েছেন তিনি।
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের চিলমারীর রানীগঞ্জ ইউনিয়নে বন্যার পানিতে ডুবে শুক্রবার রাতে সিদ্দিক (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন।
সিদ্দিক উপজেলার কোদালধোয়ার পাড় এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে।