মৈনটঘাটে নিখোঁজ অপর ২ ছাত্রের সন্ধান মেলেনি

ঈদের ছুটিতে ঢাকার দোহারে পদ্মার মৈনটঘাট থেকে নিখোঁজ তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের লাশ পেলেও অপর দুজনের সন্ধান মেলেনি তিনদিনেও।

কেরানীগঞ্জ-দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2017, 09:56 AM
Updated : 30 June 2017, 10:09 AM

গত মঙ্গলবার বিকালে পাঁচ বন্ধু মৈনঘাটে বেড়াতে যান। মৈনটঘাট থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ পাশে ঝাঁওকান্দি এলাকায় গিয়ে তারা নদীতে নামেন। এক পর্যায়ে তীব্র স্রোতে তাদের তিনজন তলিয়ে যান।

এরা হলেন ঢাকার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র  ও মোহাম্মদপুরের শহা আলমের ছেলে মহিম (২০), ঢাকার মিরপুর-২ এর পল্লীবাগ গলির নাসির ঢালীর ছেলে কমার্স কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সুপ্রিয় ঢালী (১৯) এবং মিরপুরের ৭/৫ বড়বাগ এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে ঢাকার মুণিপুর কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সালমান বিন জামাল (১৯)।

ছবি: মুস্তাফিজ মামুন

বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে মহিমের লাশ পায় ডুবুরিরা। অপর দুজন এখনও নিখোঁজ।

মৈনটঘাট সংলগ্ন দোহার থানার চর মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আরব আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রলার ও স্পিডবোটে অভিযান চালিয়ে ওই দুই ছাত্রের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তাদের মৃত্যু হয়েছে আশঙ্কা করে তিনি বলেন, দুইদিনে লাশ ভেসে ওঠার কথা। হয়তো নদীর স্রোতে অনেক দূরে চলে গেছে।

এই পাঁচ ছাত্র মৈনটঘাট থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে পদ্মায় নেমে বিপদে পড়েন বলে মনে করেন আরব আলী।

ছবি: মুস্তাফিজ মামুন

এসআই আরব আলী জানান, মৈনটঘাটে অসংখ্য লোকের সমাগম হওয়ায় গত বছর ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসে পদ্মায় ডুবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রসহ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। এ ধরনের ঘটনা এড়াতে এবার মৈনটঘাটে সার্বক্ষণিক পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছিল যাতে করে কেউ পদ্মায় গোসল করতে নামতে না পারেন।

এছাড়া এখানে মাইকিং ও বিভিন্ন সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি টানানো হয়েছে বলে আরব আলী জানান।

সরেজমিনে মৈনটঘাটে গিয়ে দেখা যায়, এবার ঈদের ছুটিতে অসংখ্য মানুষ এখানে বেড়াতে এসেছেন। কেউ পুলিশ পাহাড়া উপেক্ষা করে, কেউ বা আবার পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে গোসলের জন্য পদ্মায় নেমে পড়ছেন। টের পেয়ে পুলিশ আবার তাদের গোসলে বাধা দিয়ে পাড়ে তোলে সাবধান করে দিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার ট্রলার ও স্পিডবোট ভাড়া করে পদ্মায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।