গত মঙ্গলবার বিকালে পাঁচ বন্ধু মৈনঘাটে বেড়াতে যান। মৈনটঘাট থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ পাশে ঝাঁওকান্দি এলাকায় গিয়ে তারা নদীতে নামেন। এক পর্যায়ে তীব্র স্রোতে তাদের তিনজন তলিয়ে যান।
এরা হলেন ঢাকার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র ও মোহাম্মদপুরের শহা আলমের ছেলে মহিম (২০), ঢাকার মিরপুর-২ এর পল্লীবাগ গলির নাসির ঢালীর ছেলে কমার্স কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সুপ্রিয় ঢালী (১৯) এবং মিরপুরের ৭/৫ বড়বাগ এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে ঢাকার মুণিপুর কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সালমান বিন জামাল (১৯)।
মৈনটঘাট সংলগ্ন দোহার থানার চর মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আরব আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রলার ও স্পিডবোটে অভিযান চালিয়ে ওই দুই ছাত্রের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তাদের মৃত্যু হয়েছে আশঙ্কা করে তিনি বলেন, দুইদিনে লাশ ভেসে ওঠার কথা। হয়তো নদীর স্রোতে অনেক দূরে চলে গেছে।
এই পাঁচ ছাত্র মৈনটঘাট থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে পদ্মায় নেমে বিপদে পড়েন বলে মনে করেন আরব আলী।
এছাড়া এখানে মাইকিং ও বিভিন্ন সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি টানানো হয়েছে বলে আরব আলী জানান।
সরেজমিনে মৈনটঘাটে গিয়ে দেখা যায়, এবার ঈদের ছুটিতে অসংখ্য মানুষ এখানে বেড়াতে এসেছেন। কেউ পুলিশ পাহাড়া উপেক্ষা করে, কেউ বা আবার পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে গোসলের জন্য পদ্মায় নেমে পড়ছেন। টের পেয়ে পুলিশ আবার তাদের গোসলে বাধা দিয়ে পাড়ে তোলে সাবধান করে দিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার ট্রলার ও স্পিডবোট ভাড়া করে পদ্মায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।