শনিবার চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রোমানসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত দুই শতাধিক আসামি করা হয়েছে।
মামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে বাধা, পুলিশকে মারধর এবং সরকারি যানবাহন ভাংচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।
তিনি বলেন, “অভিযুক্তরা যে দলের হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করলে প্রয়োজনে পুলিশ আবারও অ্যাকশানে যাবে।”
শুক্রবার বিকালে শহরের কালীবাড়ি এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে মোটরসাইকেল থামানোকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রোমানের সঙ্গে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়।
এর জের ধরে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে।
এদিকে শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সংসদ সদস্য দীপু মনি আহত ছাত্রলীগ নেতাদের দেখতে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে যান।
এ সময় তিনি আহতদের খোঁজ-খবর নেন এবং ঘটনা সম্পর্কে দলের নীতি-নির্ধারণী মহলকে অবহিত করা হবে বলে জানান।