বিড়িতে প্রস্তাবিত বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার দাবি

প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির উপড় নির্ধারিত শুল্ক অযৌক্তিক উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবি করেছেন তামাক চাষীরা।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2017, 03:31 PM
Updated : 20 June 2017, 03:31 PM

মঙ্গলবার নীলফামারী শহরে জেলা তামাক চাষী সমিতি আয়োজিত সমাবেশ ও মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। এর আগে তারা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিলও করেন।

মানববন্ধন চলাকালে জেলা তামাক চাষী সমিতির সভাপতি হামিদুল হকের সভাপতিত্বে  বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে কয়েকশ তামাক চাষী অংশ নেন।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সমিতির সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মাসুম ফকির, সদস্য বিকাশ চন্দ্র রায়, নিতাই চন্দ্র রায়, আমজাদ হোসেন, সাখোয়াৎ হোসেন, মোশাররফ হোসেন, রশীদুল ফকির, মজিদুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রতিবছর বাজেটে বিড়ি শিল্পের উপর বৈষম্যমূলক শুল্ক নির্ধারণ করে আসছে সরকার। চলতি বছরের বাজেটেও এই শিল্পের উপর ১১০ শতাংশ করারোপ করে শিল্পকে ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে।

গত কয়েক বছরে শত শত বিড়ি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে বলে দাবি করে তারা বলেন, এ কারণে বিড়ি শিল্পের মালিকরা তামাক ক্রয় বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে কৃষকদের উৎপাদিত তামাক বিক্রির অভাবে ঘরেই পড়ে আছে। তামাক বিক্রি করতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তামাক চাষীরা।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ঘোষিত বিড়ি শিল্পের উপর বর্ধিত কর প্রত্যাহার করে কৃষকদের অবিক্রিত তামাক ঈদের আগেই বিক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বক্তরা।

জেলা তামাক চাষী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুম ফকির বলেন, প্রতিবছর সিগারেটের তামাক শুকাতে ৬২ হাজার ৫০০ টন কাঠ প্রয়োজন হয়, যার বাজার মূল্য অন্তত ১০৫ কোটি টাকা। সিগারেটের তামাক শুকানোর নামে প্রতিবছর গাছ কেটে পরিবেশের ক্ষতি করে সিগারেট কোম্পানিগুলো। কিন্ত বিড়ির তামাক শুকাতে কোনো কাঠের প্রয়োজন যেমন হয় না, তেমনি পরিবেশেরও ক্ষতি হয় না।

“অথচ মাননীয় অর্থমন্ত্রী বিড়ি শিল্পকে তুলে দিয়ে পরিবেশের ক্ষতিকারক সিগারেট কোম্পানিগুলোর পক্ষ নিয়ে বিড়ি শিল্পের জন্য বৈষম্যমূলক শুল্কনীতি গ্রহণ করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু অর্থমন্ত্রী ধূমানমুক্ত করার নামে শুধু বিড়ির উপর শুল্ক বাড়িয়ে দিয়ে সিগারেট কোম্পানির পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন।”