সেতু হলেও রয়েছে ফেরিঘাট, নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সম্পদ

মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদের উপর সেতু নির্মাণের প্রায় দুই বছর পরও ওই স্থানের ফেরিঘাটটি সরিয়ে নেওয়া হয়নি। এতে ফেরি ও পন্টুনসহ নানা মূল্যবান সরঞ্জাম অযত্নে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

রিপনচন্দ্র মল্লিক মাদারীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2017, 12:41 PM
Updated : 20 June 2017, 12:41 PM

জেলা সড়ক বিভাগ জানায়, মাদারীপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে ফেরি পারাপারের পরিবর্তে চীনের তত্ত্বাবধানে ২৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় সপ্তম চীন মৈত্রী ‘আচমত আলী খান’ সেতু। ২০১৫ সালের ২০ অগাস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সেতুর উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কিন্তু কাজিরটেক এলাকার ফেরিঘাটের সরঞ্জাম স্থানন্তরের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরিঘাটের বিভিন্ন স্থানে অবহেলা ও অযত্নে পড়ে আছে দুইটি ইউটি টাইপ ফেরি ও তিনটি পন্টুন। ফেরির নীচের অংশে মরিচা পড়েছে। পন্টুন তিনটির কোনো কোনো অংশ কেউ খুলে নিয়ে গেছে। যা পড়ে আছে তা অবহেলায় পড়ে আছে মাটিতে।

দ্রুত এই ফেরি ও পন্টুন সরিয়ে যথাযথ স্থানে ব্যবহার করলে সম্পদের অপচয় রোধ করা যাবে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।

কাজিরটেক ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুল রব বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদের উপর সেতু নির্মাণের পর থেকে কোনো ফেরি আর চলাচল করে না এই ঘাটে। পন্টুনগুলো অনেক দিন ধরে এখানে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। সরকার এগুলো সরিয়ে নিলে ঘাটের পরিবেশটা সুন্দর হতো।

একই এলাকার ব্যবসায়ী আরাফাত হোসেন বলেন, কাজিরটেক ফেরিঘাটে এখনও দুইটি ইউটি টাইপ ফেরি আছে। তবে এটি এখন কোনো কাজে না আসায় অবহেলায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এগুলো দেখাশোনার জন্য এখন কোনো কর্মীও নেই।

মাদারীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, “ফেরি ও পন্টুন স্থানান্তররের জন্য ফরিদপুর সড়ক বিভাগকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। তবে আশা করছি ফেরিঘাটটি অতি শিগগিরই সরিয়ে নেওয়া হবে।”