এছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চার লেনের কাজ চলায় এবং বিভিন্ন স্থানে রাস্তার ছোট-বড় গর্তে পানি জমে থাকার করণেও যানবাহন চলচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
সোমবার সকালে ভারি বর্ষণের পর মহাসড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল হাই বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কুনিয়া, বাসন সড়ক, মালেকের বাড়ি, সাইবোর্ড, ভোগড়া এলাকায় স্থানে স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে এবং মহাসড়কের পাশে পানি থাকায় গাড়ি সিঙ্গেল লাইনে চলতে গিয়ে যানজট হচ্ছে।
“এজন্য ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ে টঙ্গীর স্টেশন রোড থেকে উত্তরে চান্দনা-চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রায় নয় কিলোমিটার এলাকায়।”
কোনাবাড়ীর সালনা হাইওয়ে থানার ওসি কাজী মোহাম্মদ হোসেন সরকার বলেন, গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় দুটি ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলছে। এছাড়া ভোগড়া বাইপাস থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের কাজ এগিয়ে চলছে পুরোদমে।
“মহাসড়কের উন্নয়নে মাটি ভরাট, ইট বিছানোসহ বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিংয়ের কাজে ভারী যন্ত্রপাতি ও উপকরণ ব্যবহার করায় এ মহাসড়কে গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে চলতে সমস্যা হচ্ছে। টানা ভারি বর্ষণের কারণে মহাসড়ক চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।”
গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ডি এ কে এম নাহীন রেজা বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে পানি সরানোর উপযুক্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই এ মহাসড়কের পাশে পানি জমে যায়। ভারি বৃষ্টি হলে তা মহাসড়কের মূল অংশে চলে যায়।
যানজট নিরসনে সড়ক বিভাগ ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে রাস্তা তাৎক্ষণিকভাবে মেরামত করা হচ্ছে। এছাড়া মহাসড়কে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, নির্মাণ সামগ্রী ও অবৈধ দোকান-পাট উচ্ছেদে সোমবার থেকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং সড়ক বিভাগ একযোগে কাজ করছে বলে জানান তিনি।