দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সোমবার রাত থেকে বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রাঙামাটি, চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে পাহাড় ধসে ১৩৩ জনের লাশ উদ্ধারের তথ্য জানায়।
এর বাইরে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড় ধসে দুইজনের মৃত্যুর খবর আসে।
আর মঙ্গলবার খাগড়াছড়িতে দুইজনের মৃত্যু হলেও খবর পাওয়া যায় বুধবার সকালে।
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ ইকবাল জানান, উপজেলার দুর্গম বর্মাছড়ি ইউনিয়নে মঙ্গলবার ভোরে পাহাড় ধসের দুটি ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়।
“দুর্গম ওই এলাকাটা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। বুধবার সকালে খবরটি পাওয়া গেছে।”
নিহতরা হলেন - বর্মাছড়ি ইউনিয়নের ফত্যাছড়াপাড়ার প্রাণকৃত্য চাকমার ছেলে পরিমল চাকমা (৩০) ও হলুদ্যাপাড়া বড়ইতলী এলাকার পতুল্যা চাকমার স্ত্রী কালেন্দ্রী চাকমা (৪৫)।
এসব দুর্ঘটনায় আহত আরও তিনজনকে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।