মঙ্গলবার পূর্বাচল উপ-শহরের অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাস্থলে পানি নিষ্কাশনের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে তিনি রুপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে এই নির্দেশ দেন। রোববার এখানে পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু হয়।
জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, বহুল আলোচিত পূর্বাচলের লেক শুকিয়ে দেখা হবে আরও অস্ত্র-গোলাবারুদ আছে কিনা। এখন তড়িৎ পানি নিষ্কাশন করা খুবই গুরুত্বপর্ণূ। তাই আরও বেশি সেচযন্ত্র বসিয়ে দ্রুত পানি নিষ্কাশন করার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বৃষ্টির মৌসুম চলছে। তাই বৃষ্টির পানিতে সেচ করা লেক আবার পানিতে ভরে যাচ্ছে। তাই বেশি সংখ্যাক সেচযন্ত্র বসিয়ে তা দ্রুত সেচে তল্লাশি করা হবে।
“আগে এই লেক তল্লাশি চালিয়ে যদি পারিপার্শিক অবস্থা দেখে মনে হয় অন্য লেকে অস্ত্র থাকতে পারে তবে ওই লেকগুলো সেচে তল্লাশি চালানো হবে।”
গত শুক্রবার (২ জুন) জেলা গোয়েন্দা পুলিশ র্পবাচল উপশহরের ৩ ও ৫ নম্বর সেক্টর থেকে দুটি দূরবীন, দুটি রকেট লঞ্চার, ৬২টি চায়নিজ সাব মেশিনগান, ৪৪টি এসএমজি ম্যাগাজিন, পাঁচটি পিস্তল, ৪৯টি শেল, ৪২টি হ্যান্ড গ্রেনেড, দুইটি ওয়াকিটকিসহ বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস, টাইম ফিউজ ও বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় রুপগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে পুলিশ পাচঁজনকে গ্রেপ্তার করেছে।