সোমবার দুপুরে এ ঘটনায় আহত কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. নাজমুল আলমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম সরকার।
তবে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন উপজেলার তরগাও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মোবারক হোসেন লালন।
নাজমুল আলম বলেন, বেলা ১২টার দিকে জরুরি বিভাগে এক রোগী নিয়ে আসেন লালন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোনতাহীনা মৌ রোগীকে দেখছিলেন।
এ সময় তিনি ওই কক্ষের এক পাশে দাঁড়িয়ে পরের দিনের কর্ম বণ্টন ও মিটিং নিয়ে এক সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলেন জানিয়ে বলেন, “আমি রোগীর কাছে না গিয়ে কেন উচ্চস্বরে ফোনে কথা বলছিলাম এ নিয়ে লালন খারাপ কথায় গালি দেয় এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
“এ নিয়ে কথা কাটাকাটির পর লালন আবার জরুরি বিভাগে ঢুকে কিছু বুঝে ওঠার আগে আমাকে মারধর করতে থাকে।”
এ ঘটনার বিচার চেয়ে নার্সরা কর্মবিরতি শুরু করলে জরুরি বিভাগে সাময়িকভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম সরকার নার্সদের বুঝিয়ে কাজে ফিরিয়ে আনেন।
এ ব্যাপারে লালন বলেন, দুপুরে এক রোগী নিয়ে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু বিষয়টি নাজমুল বিলম্বিত করায় তাকে বকাঝকা করেছেন।
মারধর করেননি দাবি করে তিনি বলেন, “নাজমুলই আমাকে কিল-ঘুষি মারে।”
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সালাম বলেন, “লালনের বিরুদ্ধে দলের (ক্ষমতার) দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন সময় হাসপাতালে অনৈতিক সুবিধা নিতে চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, দুর্ব্যবহার ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রয়েছে।”
বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি, সিভিল সার্জন ও থানার ওসিকে জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।