বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারকি হাকিম বৈজয়ন্ত বিশ্বাস বৃহস্পতিবার এ সাজা দেন।
দণ্ডিত হারুন অর রশিদ খান তালতলী কলেজের অধ্যক্ষ। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য খলিলুর রহমান জানান, ‘সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম মোর্শেদের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে তিনি ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর দণ্ডবিধির ৫০০, ৫০১, ৫০২ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
খলিলুর বলেন, আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। পরে মামলার বাদী তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের আবেদন করলে আদালত তালতলী কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ খানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দেন।
“কিন্তু ছয়টি ধার্য তারিখেও অধ্যক্ষ হারুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেননি এবং আদালতের কাছে সময়ও চাননি। তাই বৃহস্পতিবার মামলার ধার্য তারিখে হারুনের সাজার রায় ঘোষণা করা হয় এবং তাকে গ্রেপ্তার করতে তালতলী থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়।”
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ খানের সঙ্গে এবাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।