রোববার আসামিদের উপস্থিতিতে বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক রকিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সদর উপজেলার টুমচরের স্বরূব আলীর স্ত্রী মমতাজ বেগম ও চরমোনাই এলাকার কালাম হাওলাদার।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত হচ্ছে কালামের স্ত্রীর ভাগ্নে রাজিব রাঢ়ী।
একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা; অনাদায়ের আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গিয়াসউদ্দিন কাবুল।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি জানান, টুমচরের জেলে স্বরূব আলীর স্ত্রী মমতাজ বেগম চরমোনাই এলাকার মোটরসাইকেল চালক কালাম হাওলাদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। স্বরূব বিষয়টি জানতে পারলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়।
“এর জেরে ২০১৫ সালের ১১ মার্চ রাতে মমতাজ বেগম, কালাম হাওলাদার ও রাজিব রাঢ়ী ঘুমিয়ে থাকা স্বরূব আলীর গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশের খালের পাড়ে পুঁতে রাখে।”
তিনি জানান, পর দিন সকালে তার লাশ উদ্ধার করে স্বজনরা। ওইদিনই অজ্ঞাতদের আসামি করে বরিশাল বন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই আশ্রাব আলী।
“এরই মধ্যে পুলিশ ওই তিনজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে একই বছরের ২৬ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।”