ভয় দেখিয়ে ২ শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণ, একজন গ্রেপ্তার

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার দুই স্কুলছাত্রী আদালতে তাদেরকে ধর্ষণের বিবরণ ও দুই যুবকের নাম প্রকাশ করেছে, যাদের ধর্ষণকারী বলেছে তারা।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2017, 03:19 PM
Updated : 24 May 2017, 03:59 PM

বুধবার রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম পীরগঞ্জ আমলী আদালতে তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

ওই দুই যুবক হলেন পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের খেজমতপুরের আলিম উদ্দিনের ছেলে ট্রাক্টর চালক মামুন মিয়া (২৭) এবং একই এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে রাজমিস্ত্রী জামরুল ইসলাম (২৫)।

পুলিশ মামুন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার এসআই তামবিরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের শিকার দুই ছাত্রী আদালতে জবানবন্দিতে ধর্ষিত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে এবং ধর্ষকদের নাম প্রকাশ করেছে।

“জবানবন্দি গ্রহণ শেষে চিকিৎসার জন্য তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার তাদের ডাক্তারি পরীক্ষার কথা রয়েছে বলে জানান তামবিরুল।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার দুপুরে খেজমতপুর এলাকার আখিরা নদীর পাশে জমি চাষ করে ট্রাক্টর ধোয়ার কাজ করছিল মামুন। সঙ্গে ছিল তার বন্ধু জামরুল। এ সময় একই এলাকার ওই দুই শিশু ছাত্রী নদীতে গোসল শেষে বাড়ি ফিরছিল। ওই সময় মামুন ও জামরুল তাদের মুখ চেপে ধরে পাশের ভুট্টা খেতে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে রেখে যায়।

রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরেও ভয়ে তারা বিষয়টি কাউকে জানায়নি। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে রক্তক্ষরণ বেড়ে গেলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন ধর্ষণের বিষয়টি তারা বাবা-মাকে জানায়। এরপর পরিবারের সদস্যরা থানায় বিষয়টি জানান।

পীরগঞ্জ থানার ওসি রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনাটি জানার পর ধর্ষিতাদের পরিবারে পুলিশ পাঠানো হয়। ধর্ষিতারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ধর্ষকদের নামও জানায়।

“এরপর দুই ধর্ষিতার একজনের মা বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকালে মামুন ও জামরুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।”

পরে মেয়ে দুটিকে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় ‘ধর্ষক’ মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ধর্ষিতাদের একজন পঞ্চম ও আরেকজন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী বলে জানান ওসি।