কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, মেডিকেল টেস্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা তিনজনকে আসামি দেখিয়ে মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন - উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর কবির, তার বন্ধু তুষার (২৬) ও স্থানীয় মাইক্রোবাস চালক মোখলেছ (২৫)।
ছাত্রীর বাবা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার কলেজছাত্রী মেয়েকে কলেজে যাওয়া-আসার পথে আলমগীর প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন।
“গত ১১ জানুয়ারি ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে একটি মাইক্রোবাসে তুলে ধর্ষণ করে আলমগীর ও তার সঙ্গীরা। তারা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায়। পরে তার বান্ধবীরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
প্রভাবশালীদের চাপে ও মানসিক বিপর্যয়ের কারণে মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আলমগীর কবিরের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, “তার কর্মকাণ্ড সন্তোষজনক ছিল না। বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে কয়েকবার সাবধান করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা সত্য প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ আসামি ধরার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন ওসি কামরুল ইসলাম।