সংগলশী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ জানান, তাদের কলেজ ও উত্তরা ইপিজেড পাশাপাশি। কলেজ সংলগ্ন একটি কারখানার জেনারেটর এই সমস্যা তৈরি করছে।
“জেনারেটর চলার সময় কলেজের কেউ কারও কথা শুনতে পায় না। এতে একদিকে যেন পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে অন্যদিকে তেমনি মারাত্মক শব্দদূষণের শিকার হচ্ছে সহস্রাধিক ছাত্র-শিক্ষক।”
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কলেজে গিয়ে বিকট শব্দ শোনা গেছে। এ সময় কলেজের কয়েকটি শ্রেণিতে পাঠদান চলছিল।
বিএ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসনাত আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিকট শব্দে প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে।
“অনেকেরই কানের সমস্যা দেখা দিয়েছে। শব্দের কারণে প্রচণ্ড মাথাব্যথা হয়। এ কারণে আমরা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারি না।”
একাদশ শ্রেণির কক্ষে ঢুকে দেখা গেছে, শিক্ষক গলা ফাটিয়ে পাঠদানের চেষ্টা করছেন। কিন্তু জেনারেটরের বিকট শব্দে শিক্ষককের কথা কেউ শুনতে পাচ্ছে না।
একই শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, “শব্দের কারণে স্যারের কোনো কথাই আমরা শুনতে পাই না।”
দ্বাদশ শ্রেণির ইসরাত জাহানও একই কথা বলেন।
“বাধ্য হয়ে অনেক ক্লাস বাতিল করতে হয়,” বললেন পৌরনীতি বিভাগের শিক্ষক আব্দুস সাত্তার।
অন্তত আধা কিলোমিটার পর্যন্ত মানুষ এই শব্দদূষণের শিকার হচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এনায়েতুর রহমান।
ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হাদী বলেন, “এই শব্দের মধ্যে ক্লাস নিতে গিয়ে কলেজের অধিকাংশ শিক্ষককের কানের সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেকেই মাথার যন্ত্রণায় ভুগছেন।
“এরই মধ্যে ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক সামসুদ্দোহা ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক গোলাম রব্বানী কানের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছেন। অনেক শিক্ষার্থী কলেজে আসা বন্ধ করে দিয়েছে এই জেনারেটরের কারণে।”
ইপিজেড কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ।
এ বিষয়ে উত্তরা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক আব্দুস সোবহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।”