সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল বারিক জানান, সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের পূর্ব বাহুকা গ্রাম থেকে গত বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে মেয়েটিকে একই এলাকার মো. হাকিম (৩০) অপরহরণ করে বলে মেয়েটির মা থানায় মামলা করেন।
“ওই এলাকার হবি মণ্ডলের ছেলে হাকিমের বিরুদ্ধে জোড়া খুন, নৌ-ডাকাতি, ছিনতাই ও অপহরণসহ অন্তত ১৮টি মামলা রয়েছে।”
তিনি যমুনা নদীর ‘জলদস্যু’ হিসেবে স্থানীয়ভাবে পরিচিত বলে এসআই বারিক জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে স্কুলে যাতায়াতের পথে দীর্ঘদিন ধরে হাকিম উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বুধবার সকালে স্কুলে যাওবার পথে হাকিম মেয়েটিকে অপহরণ করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েণ্টেফোর ডটকমকে মেয়েটির বাবা জানান, ঘটনার দিনই তার স্ত্রী বাদী হয়ে হাকিমসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
মামলার কথা জানতে পেরে হাকিম ও মামলার অন্য আসামিরা তাদের বাড়ি গিয়ে তার ভাতিজা আব্দুল হাকিমকে মারধর করেন এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি-ধামকি দেন বলে তার অভিযোগ।
ওই হুমকির পর পরিবার নিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যান বলে জানান তিনি।
এসআই বারিক জানান, এর আগেও হাকিমের বিরুদ্ধে একই এলাকার ১৩ বছর বয়সী এক মেয়েকে অপহরণের মামলা করা হয়।
পরে আসামিরা মেয়েটির পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দিলে তারা প্রাণভয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যান।
এ পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য, যেকোনো সন্ত্রসী কর্মকাণ্ড করেই হাকিম চরাঞ্চলে আত্মগোপনে চলে যায় বলে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে বিভিন্ন সোর্স নিয়োগ এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।