জঙ্গিদের এই ‘নয়া কৌশল’ নিয়ে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি খুরশীদ হোসেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফেরি করে কাপড় বিক্রেতার আড়ালে জঙ্গি প্রচার চালানোর কয়েকজনের সন্ধান পেয়েছেন তারা, যাদের মধ্যে পাঁচজন গ্রেপ্তার ও দুইজন আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয়েছে।
গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত নাচোলের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন সাত জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এরা হলেন নাচোলের গুঠইল গ্রামের হারুন-অর-রশিদ (২৫), কামাল উদ্দিন (৩২), বেড়াচকি গ্রামের নাসিম রেজা শাহীন (২০), শ্রীরামপুর গ্রামের ফিরোজ (২২), শিবগঞ্জ উপজেলার শিবনগর কাইঠ্যাপাড়া গ্রামের বাবু (২২), রাঘবপুর গ্রামের আজিজুল হক (৩৮) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের দেবীনগর ফাটাপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিম (২০)।
নাচোল থানার ওসি ফাছির উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ফেরি করে কাপড় বিক্রেতা সেজে জেএমবির প্রচারণা চালানোর সময় গত বুধবার (১০ মে) নাচোলের গুঠইল গ্রাম থেকে ‘জেএমবি’ সদস্য হারুন-অর-রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওই গ্রামে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাওয়া যায় অপর কাপড় ফেরিওয়ালা ‘জেএমবি’ সদস্য কামাল উদ্দিনকে।
“এ সময় হারুনের বাড়ি থেকে সাড়ে চার কেজি গান পাউডার ও ২২টি জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।”
গোদাগাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম মুন্সি বলেন, বেনীপুর জঙ্গি আস্তানায় নিহতদের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন ও তার ছেলে আলামিন ফেরি করে কাপড় বিক্রেতা ছিল, যার আড়ালে তারা জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালাত।
তিনি বলেন, এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার কাকনহাট স্টেশন থেকে আনসার তালহা ওরফে মামুন নামের এক কাপড় ফেরিওয়ালাকে গ্রেপ্তার করা হয়, যে জেএমবির সদস্য ছিল। তার কাপড়ের মধ্যে জিহাদি বই ও লিফলেট পাওয়া গেছে। তার বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ি এলাকায়।
“কাপড় ফেরি করার আড়ালে মামুন রাজশাহী অঞ্চলে জেএমবির কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিল,’ বলেন হিপজুর।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রেপ্তার সাত জেএমবির সদস্যের মধ্যে চারজনই ছিল ফেরিওয়ালা ছিরে বলে পুলিশের দাবি।
নাচোল থানার ওসি ফাছির উদ্দিন জানান, ফেরি করে কাপড় বিক্রেতা সেজে জেএমবির প্রচার চালানোর সময় গত ১০ মে গুঠইল গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জেএমবি সদস্য হারুন-অর-রশিদকে। হারুনের দেওয়া তথ্যে গ্রেপ্তার করা হয় নাসিম রেজা শাহীন ও ফিরোজকে।
“এরপর গ্রেপ্তার করা হয় কাপড় ফেরিওয়ালা জেএমবির সদস্য কামাল উদ্দিনকে।”
শাহীন ও ফিরোজ ফেরি করে কাপড় বিক্রয়ের আড়ালে জেএমবির প্রচার চালাচ্ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, বলেন ওসি ফাছির উদ্দিন।