ফল প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে গালিমপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মিষ্টি বিক্রেতা দেবব্রত কুমার স্ত্রী-সন্তানের পাসের খবরে খুশি হয়ে তার সব খদ্দেরকে মিষ্টি খাওয়ান।
দুই ছেলের মা মলি রানী সাংবাদিকদের বলেন, “খুশিতে আমরা আত্মহারা।
“এই বয়সে ছেলের সাথে পরীক্ষা দিয়ে ৪ দশমিক ৫৩ পেয়ে পাস করেছি, এতেই ভগবানের কাছে হাজার প্রণাম। তবে জিপিএ-৫ পেলে আরও খুশি হতাম।”
তিনি তার পড়ালেখা এগিয়ে নিতে চান বলে জানান। তার অন্তত স্নাতক পাস করার ইচ্ছা।
তিনি বলেন, “আমার পড়ালেখা নিয়ে পরিবার ও গণমাধ্যম যে আগ্রহ দেখিয়েছে তাতে আমি মুগ্ধ। ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটা আমাকে বাড়তি উৎসাহ জোগাবে।”
ছেলে মৃন্ময় কুমার উচ্ছ্বাস ভরে বলেন, “মা এত দিন পর পড়ালেখা করে আমার চেয়ে ভালো করেছে, এতে আমরা সবাই খুব খুশি।”
মা মলি পেয়েছেন ৪ দশমিক ৫৩, আর ছেলের জিপিএ ৪ দশমিক ৪৩।
দেবব্রত কুমার জানান, মলি নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুরের অসিত কুণ্ডুর মেয়ে। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় বিয়ে হলে পড়ালেখা থেমে যায়।
“ছেলেকে পড়াতে গিয়ে নিজেও আবার পড়ালেখা শুরু করে মলি। ছেলেদের পড়ানো, সংসার সামলানো, তারপর নিজের পড়ালেখা করে ৪ দশমিক ৫৩। খুবই ভালো।”
এই মা-ছেলে বাগাতিপাড়া মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ছেলে মৃন্ময় কারিগরি শাখায় বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স ট্রেডের শিক্ষার্থী। আর মা মলি পরীক্ষা দেন ড্রেস মেকিং অ্যান্ড টেইলরিং ট্রেডে।