এ বোর্ডে এবার পাশের হার ৮০ দশমিক ২৬ শতাংশ; গত বছর এই হার ছিল ৮৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
সিলেটে গত বছর দুই হাজার ২৬৬ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেলেও এবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬৩ জন।
এবারের পরীক্ষায় মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৮৭২টি স্কুলের ৯৩ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৭৫ হাজার ৩৭৪ জন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের এসব দিক তুলে ধরেন সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. শামসুল ইসলাম।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শামসুল বলেন, “এবার আবশ্যিক বিষয় গণিতে সবচেয়ে বেশি নয় শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। এছাড়া ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র, ভূগোল, কৃষি বিজ্ঞান, রসায়ন ও পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে গড়ে পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে।
“কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে ফেল করেছে ছয় শতাংশ শিক্ষার্থী। নতুন যুক্ত হওয়া ক্যারিয়ার শিক্ষা ও আইসিটি বিষয়ে ফেল করায় পাসের হারে প্রভাব পড়েছে।”
তবে ফল বেশি খারাপ হয়েছে বলে মনে করছেন না পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাসমুল ইসলাম।
তার মতে, “সার্বিক ফলাফল ভালই হয়েছে। পাসের হার কমলেও জিপিএ-৫ বেড়েছে। গুণগত মান বেড়েছে।”
সিলেট বোর্ডের অধীনে চার জেলার মধ্যে সিলেটে ৮৪ দশমিক ৩১ শতাংশ, হবিগঞ্জে ৭৬ দশমিক ০২ শতাংশ, মৌলভীবাজারে ৭৬ দশমিক ১২ শতাংশ ও সুনামগঞ্জে ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
পাঁচ বছরের মধ্যে খারাপ ফল
২০১৩ সালে পাসের হার ছিল ৮৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৮৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশ, ২০১৬ সালে ৮৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ ও ২০১৭ সালে পাসের হার ৮০ দশমিক ২৬ শতাংশ।
মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা এগিয়ে
গত বছরের মত এবারও ভাল ফল করে সিলেট বোর্ডে মেয়েদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা।
এবার ৪১ হাজার ৬২৬ জন ছেলে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৩৩ হাজার ৬৫৫ জন। ছেলেদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
অন্যদিকে ৫২ হাজার ২৮৯ জন মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪১ হাজার ৭১৯ জন। মেয়েদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
বিজ্ঞান বিভাগে ভাল ফল
বোর্ডে এবার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বেশি পাস করেছে।
এবার ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৮৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ, মানবিক বিভাগে ৭৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করলেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করেছে ৯০ দশমিক ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী।
বোর্ডে এবার দুই হাজার ২৬৬ জন জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকেই পেয়েছে দুই হাজার ৫৫০ জন।
সিলেট বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮৭২টি স্কুলের মধ্যে ৩৭টি থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে; কেউ পাশ করতে পারেনি এমন প্রতিষ্ঠান শূন্য।