শুক্রবার সুনামগঞ্জে এসে তিনি বলেন, “দুর্নীতি তদন্তে পানি উন্নয়ন বোর্ড, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও দুদকের তদন্ত দল কাজ করছে। তিনটি জায়গা থেকে আমরা অনুসন্ধান করছি।
আগাম বন্যায় সুনামগঞ্জসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়িক্ষতি হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে হাওরের ফসল রক্ষায় বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
মন্ত্রী বলেন, “গতবারও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ায় ৫০ ভাগ বিল দেওয়া বন্ধ করেছিলাম। আমার কাছে অনেক তদবির গেছে, অনেক কিছু হয়েছে, কিন্তু বিল ছাড় দেইনি। এবারও মাত্র নয় কোটি টাকা বিল দেওয়া হয়েছে। বিল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।”
পাহাড়ি ঢল বন্ধ করা যাবে না, তা সম্ভবও নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের যা করতে হবে তা হলো, নদীগুলো খনন করতে হবে যাতে ঢলের পানি দ্রুত চলে যায়, কম ফলনের ও কম সময়ের চারা রোপন করতে হবে।
“আমাদের যে বাঁধগুলো আছে সেগুলোর উচ্চতা বাড়ানো ঠিক কিনা তা সবার সাথে আলোচনা করতে হবে। কারণ এখানে মাছের ব্যাপার আছে, পরিবেশের ব্যাপার আছে, সেই চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
দুপুরে সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকা পরির্দশনের আগে সার্কিট হাউজে সাংবাদিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় স্থানীয় সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ শাহানা রব্বানীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।