বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হতে এসে তিনি ধরা পড়েন। এর আগে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা ভোগ করে আসছিলেন।
চাঁন মিয়া মল্লিক (৭০) সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের চানপুরা গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীন মল্লিকের ছেলে।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাছাই কমিটির নির্দেশে তাকে দুইঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে তাৎক্ষণিক সাজা দেওয়া হয়।
এ সময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান মুন্সি, সদস্য সচিব ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মকবুল হোসেন, সদস্য জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মোতালেব আলাউদ্দিন, শামসুল হক আক্কাস, সদস্য মকবুল হোসেন তালুকদার, শাহজাহান হাওলাদার, আলতাফ হোনে খান ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
“এছাড়া তার সনদটি জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে।”
পরে চাঁন মিয়া মল্লিককে দেড় ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ও বাছাই কমিটির সদস্য আব্দুল মোতালেব আলাউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জাল সনদে এতদিন রাজাকার চাঁন মিয়া মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পেয়ে আসছিলেন। যাচাই বাছাইয়ে জেরার মুখে তিনি সবার সামনেই একাত্তরে রাজাকারের ভূমিকা পালনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
“তার ভাতা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”